সোহাগ মিয়া, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ :
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময়ে হত্যাচেষ্টা এবং গুমের ঘটনা আলোচনার জন্ম দেয়, তবে এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো ময়মনসিংহ জেলা, তারাকান্দা উপজেলা, ৪ নং গালাগাঁও ইউনিয়ন, ৬ নং ওয়ার্ড, মাইলোরা গ্রামে আরছব আলীর বিরুদ্ধে রুহুল আমীনকে হত্যাচেষ্টা এবং গুম করার অভিযোগ। এ ধরনের ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ব্যক্তিগত শত্রুতার জটিল পরিণতি হতে পারে, যা সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রুহুল আমীন একজন সাধারণ কৃষক/নিরীহ ব্যক্তি বা সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার জীবন রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হুমকি এবং নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। অভিযোগে বলা হচ্ছে যে, আরছব আলী এবং তার সহযোগীরা রুহুল আমীনের জীবন নিয়ে শত্রুতার কারণে তাকে এবং তার পরিবারের উপর শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করে হত্যার উদ্দেশ্যে এবং গুম করার উদ্দেশ্যেও তাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন। এই ধরনের অভিযোগ সাধারণত রাজনীতিতে বিরোধিতা এবং প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে তৈরি হতে পারে। এ ধরনের অভিযোগের তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে থাকে। তবুও, অভিযোগের সঠিকতা এবং এর পেছনের কারণ উন্মোচন করতে বিশেষ ধরনের তদন্তের প্রয়োজন হয়, যাতে সত্যতা উদঘাটন করা সম্ভব হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে গুম এবং হত্যাচেষ্টার মতো ঘটনাগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এবং হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশে এই ধরনের অভিযোগগুলি কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং তা রাজনীতির মাঠে নতুন জল্পনা তৈরি করে। এটি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা কমিয়ে দেয়। এর পরিণতি কী হবে, তা নির্ভর করবে তদন্তের ফলাফলের ওপর এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি। এই ঘটনা যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন একটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। রুহুল আমীন ইনফো টিভিকে বিষয়টি অবগত করলে ইনফো টিভির চেয়ারম্যান প্রতিনিধি পাঠাই ঘটনাস্থলে, ইনফো টিভির প্রতিবেদনে উঠে আসে রুহুল আমিনের নামে আনা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। রুহুল আমীনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় প্রকাশ্যে মোঃ আরছব আলী (পিতা মৃত: রহিম রহিম আলী), যা ধরা পড়ে ইনফো টিভির গোপন ক্যামেরায় এবং আমাদের সাংবাদিকের উপর চড়াও হন এবং হুমকি দিতে থাকেন । পরবর্তীতে এ বিষয়টি উপজেলা পরিষদের টিএনও এবং তারাকান্দা থানার মোহাম্মদ টিপু সুলতান (অফিসার ইনচার্জ ) বরাবর বিষয়টি অবহিত করলে উনারা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে ইনফো টিভিকে জানান। মোঃ রুহুল আমিনের একটাই অনুরোধ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর তিনি এবং তার পরিবার যেন সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃংখলভাবে চলাফেরা করতে পারে সেই পরিবেশ যেন পায়। তার জন্য প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন এবং সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানান।