নির্বাচন কমিশন সংস্কারে ১৭ দফা প্রস্তাব বাংলাদেশ লেবার পার্টির

তৌহিদুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
————————–
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের কাছে ১৭ দফা প্রস্তাবনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে লেবার পার্টির ৫সদস্যের প্রতিনিধি দল।

আজ (সোমবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন ও লেবার পার্টির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কমিশনের অন্যতম সদস্য জেসমিন টুলি, লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারকল্পে ১৫ দফা প্রস্তাবনা নিম্নরূপ :

১। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
২। একই ব্যক্তি পরপর ২ বারের বেশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৩। বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উচ্চ কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করতে হবে।
৪। সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে।
৫। বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২’ সংশোধন করতে হবে।
৬। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটি ও কার্যালয়, ২১টি জেলা/মহানগর ও ১০০টি উপজেলা/থানায় দলীয় কার্যালয়, সক্রিয় কমিটির ভিত্তিতে নিবন্ধন দিতে হবে। বর্তমানের ২০০ ভোটার সদস্যের বিধান বাতিল করতে হবে।
৭। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবসরের ৫ বছরের মধ্যে নির্বাচনের অংশ গ্রহণ বেআইনী ঘোষণা করতে হবে।
৮। সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ী ও প্লট প্রাপ্তির সুবিধা বাতিল করতে হবে।
৯। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
১০। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে স্ব স্ব জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নিয়োগের বিধান প্রবর্তন, বিশেষ ক্ষমতা প্রদান ও জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।
১১। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশীশক্তির অবাধ বিচরণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
১২। নির্বাচনে প্রার্থী কর্তৃক পোষ্টার ব্যানার ফেষ্টুন ও বিলবোর্ড দিয়ে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে কমন পোষ্টার, মাইকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জনসভা, শো-ডাউন নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ইউনিয়ন, উপজেলা ও মহানগরে ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিক সভা বা প্রার্থী পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে সকল প্রার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত ও নাগরিক অঙ্গীকার প্রকাশ্যে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
১৪। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে সকল পোস্টার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ড, ওয়াল রাইটিং স্ব স্ব ব্যাক্তিকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের পদক্ষেপ নিতে পারবে কমিশন।
১৫। তফসিল ঘোষণার পরে সকল প্রকার শোডাউন, সমাবেশ, প্রচার মিছিল নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৬। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতি উপজেলা ও ইউনিয়নে ১টি অফিস, উপজেলা নির্বাচনে প্রতি ইউনিয়নে ১টি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১টির বেশী নির্বাচনী অফিস বা ক্যাম্প স্থাপন নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৭। নির্বাচনে প্রার্থী কর্তৃক ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত করতে সকল পরিবহন সুবিধা, ক্যাম্প স্থাপন নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

     More News Of This Category

Our Like Page

পুরাতন খবর

MonTueWedThuFriSatSun
      1
2345678
23242526272829
3031     
    123
       
 123456
28293031   
       
      1
2345678
30      
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031     
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
28293031   
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31