বাংলাদেশে ক্ষমতার রাজনীতির জনপ্রিয় ও
কেন্দ্রীয় শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি)। বিগত ৪৪ বছর ধরে দলটি র্যাপক
জনসমর্থন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি
প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবেই পরিগণিত। বিগত চার
দশকের অধিক সময় দলটি
রাজনীতি করে আসছে। এ
সময়ে দলটি তিনবার
সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
প্রতিষ্ঠা করেন। চৌকস জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের
বহু মত ও পথের রাজনীতিক ও কর্মীদের নিয়ে গঠন
করেন বিএনপি। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান তার
সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন মুসলিম
লীগ নেতা শাহ আজিজুর রহমানকে। জাতীয় সংসদে
নির্বাচনে নিয়ে আসেন ১৯৭১
সালে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়া
মুসলিম লীগকে। নবগঠিত
ইসলামিক ডেমোক্রেটি লীগ-
আইডিএলকে মুসলিম লীগের
সাথে জোট করে জাতীয়
সংসদে নির্বাচন করার সুযোগ
করে দেন। ১৯৭৯ সালে
দ্বিতীয়
ক্ষমতায় গেছে এবং পনেরো
বছর দেশ শাসন করেছে।
জাতীয় সংসদে বিরোধীদল
হিসেবে দুইবার হলেও বাকি
ত্রিশ বছর মাঠের বিরোধীদল
হিসেবেই রাজনৈতিক
ময়দানে, দায়িত্ব পালন
করেছে।
জাতীয় সংসদে
মুসলিম লীগ ও আইডিএল
জোট ২০ আসনে বিজয়ী
হয়। মুসলিম লীগ ১৪ আসনে
আর আইডিএল ৬ আসনে
বিজয়ী হয়েছিল। জিয়াউর
রহমান বিলুপ্ত আওয়ামী
লীগকে জাতীয় সংসদে
নির্বাচন করার সুযোগ করে
দেন, আওয়ামী লীগ ৩৯
আসনে বিজয়ী হয়েছিল।
সেটা ছিল বকাশাল থেকে
বাংলাদেশের
জাতীয়তবাদী ও ইসলামী
ধারার রাজনীতিকে ধারণ
করেই বিএনপি রাজনীতি শুরু
করেছে। তিনবার ক্ষমতায়
আসীন হওয়া দলটি বিগত ১৭
বছর যাবত এক কঠিন সময়
পার করছে। আওয়ামী লীগের
নিশিভোটের ষড়যন্ত্রের কবলে
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান
পড়ে বিএনপি ২০১৮ সালে
তার রাজনীতির ইতিহাসে সর্বনিম্ন আসন পেয়েছে। আওয়ামী লীগের পুনঃজন্ম। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট
আওয়ামী লীগের রাজনীতির কৌশলের কাছে
পরাজিত হয়ে বিএনপি ক্ষমতা থেকে যেমন ছিটকে
পড়েছে, তেমনিভাবে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের
অবস্থানও হারিয়েছে। তবে সংসদে বিরোধীদলের
অবস্থান হারালেও বিএনপি এখনও জনপ্রিয় দল।
বহু মত ও পথের দল বিএনপি
পার্টি ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ন্যাশনাল
আওয়ামী পার্টি-ন্যাপকেও সংসদ নির্বাচনে
অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং তারাও কয়েকটি
আসনে বিজয়ী হয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয়
রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা
জিয়াউর রহমানই ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের মাধ্যমে
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।