গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলরের কার্যালয় সহ আশ পাশের সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় গড়ে উঠা দোকান পাঠ সিলগালা করে দিয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন। নিচ তলায় থাকা সাংবাদিকদের বসার স্থান ও গাছা প্রেসক্লাব টির সিটি কর্পোরেশনের লিখিত অবগত করা সত্তেও সিলগালা করার পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে প্রেসক্লাবের কম্পিউটার, চেয়ার টেবিল ফাইল কেবিনেট, ফ্যানসহ আসবাবপত্র ও অন্যান মালামল । এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। সাংবাদিক নেতারা উদ্বেগ জানিয়ে বিষয়টিকে গণমাধ্যমের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন।
অত্র ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়রের কাছে লিখিতভাবে অবগত করে অফিস পরিচালনা করছি, তার পূর্বেও আমরা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
মহোদয়কে অবগত করে অফিস করেছি
আমরা অবৈধভাবে দখলদার না??? আইন অনুসারে আমাদের নোটিশ দিলে আমরা অন্যত্রে মালামাল নিয়ে চলে যাবো, যে নোটিশ টি দেওয়া হয়েছিলো তা ছিল অবৈধ দখলদারদের জন্য এবং নাম/স্বাক্ষর এবং কি সিল মহর পর্যন্ত ছিলনা! গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের সময় না দিয়ে তাদের কাজ তারা করবে বলে আমাদের
ক্লাবের সদস্যদের বাহিরে চলে যেতে বলেন।
স্থানীয় দোকানদাররা জানান, তারা সিটি কর্পোরেশনকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর পরও তাদের অবৈধ দখলদার বলা হচ্ছে। অন্যদিকে অন্যান্য দোকানে শুধুমাত্র সিলগালা করা হলেও গাছা প্রেসক্লাবের মালামাল জব্দের ঘটনা কে রহস্যজনক বলছেন প্রেসক্লাব নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাছা প্রেসক্লাবের রুম টি সংস্কারের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুদানও দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি গাছা প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব নেয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল মামুন মন্ডল।
যিনি কিনা সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়রের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে রাজপথে অবস্থান নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সে সময় মামুন মন্ডলের নেতৃত্ব ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে পদচ্যুত করান। স্থানীয়দের দাবি, মামুন মন্ডল গাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি হবার কারণেই প্রেসক্লাব টির উপর এমন খড়গ নেমে আসে।
এই বিষয়ে গাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন মন্ডল বলেন, গাছা প্রেসক্লাবের ব্যবহৃত কম্পিউটারে আমাদের কর্মরত সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ভিতরের আসবাবপত্রে নথি রয়েছে। এসব নষ্ট করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছি। অন্যথায় অন্যান্য দোকানের মালামাল জব্দ না করা হলেও গাছা প্রেসক্লাবের মালামাল জব্দ করা সন্দেহজনক।
অভিযান পরিচালনা করেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা নমিতা দে ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্চল ৩ মাহমুদা শাহরিন মাধুবী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বর্তমান মেয়রের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ৩৫ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর মীর ওসমান গনি কাজল, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, ৩৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ জুয়েল মন্ডল, ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ মনিরুজ্জামান মনিরসহ সিটি কর্পোরেশনর কর্মকর্তা, কর্মচারী। সাথে ছিলেন গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশের সদস্য।
মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিপুল সংখ্যক
নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।