নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে যুবদল ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রকাশ্যে অসহায় কৃষকের জমি দখল করে ধান কাটা, লাঙ্গল চাষ দেয়া ও পুকুরের মাছ মেরে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে মেহগণি ও আম বাগানের গাছ কেটে নেয়ারও চেষ্টা করছেন তারা। এতে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়ার পাশাপাশি প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলার মশিন্দা গ্রামের আকুল হোসেন ও তার ভাইয়েরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে মশিন্দা মৌজার ১৭৮ ও ৩১৭ নং খতিয়ানের একটি পুকুরসহ ২৯ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছেন। কয়েক বছর আগে একই গ্রামের আকরাম হোসেন ও আমিরুল ইসলামসহ তার স্বজনরা ওই জমি তাদের বলে দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান আছে। শনিবার নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক সাজদার রহমানের অনুসারী ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান ও একই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শহীদুল শাহ’র নেতৃত্বে প্রতিপক্ষরা সশস্ত্র অবস্থায় বিবাদমান জমির প্রায় ১২ বিঘা জোরপূর্বক দখল করে লাঙ্গল চাষ দেন। এর আগে তারা ওই জমি থেকে আকুল হোসেন ও তার ভাইদের চাষ করা ধান কেটে নেয়াসহ একটি পুকুরের সব মাছ লুটে নেয়। পরে যুবদল ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা সেসব মাছ রান্না করে খাওয়াসহ ভাগবাটোয়ারা করে নেন। একই সাথে তারা অবশিষ্ট জমিতে থাকা আম ও মেহগণি বাগানের গাছ কেটে নেয়ার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্র্ড যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, যাদের জমি তারাই ধান কেটে নিয়ে চাষ করছে, আমরা সহযোগিতা করেছি। তবে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক হয়ে জমি দখল করে ধান কাটা ও মাছ মারার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় চাহিদা মেনে এমনটি করতে হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল শাহ’র মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওখানে জমি-জমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলমান আছে। তবে জমি দখল, ধান কাটা ও মাছ মারার বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।