হাওরাঞ্চলের কথা প্রতিবেদক, বিশ্বম্ভপুর >> ১ নং সলুকাবাদ ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের আত্তাপাড়া ছড়াহাঠি গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী আজিজুল মাদক ব্যবসায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মাদকের কালোথাবায় এ জনপদের বিস্তৃর্ণ এলাকায় উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা নেশা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে নেশা আসক্ত ছেলেদের ভবিষ্যত নিয়ে অভিভাবকরা শংকিত হয়ে পড়েছে। থানা পুলিশের নির্বিকারের সুযোগে মাদক বিক্রেতা আজিজুল তার ভাই শামসুল ইসলাম কে দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। মাদক বিক্রয়তা আজিজুল ব্যাপারে ১ নং সলুকাবাদ ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের আত্তাপাড়া ছড়াহাঠি গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে গতকাল কথা বলে জানা গেছে, মাদক চোরাচালানী এক সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ ভিত্তিক কাঠের চালান সরবরাহ করার আড়ালে ওখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে গাঁজা, ইয়াবাসহ মাদকের চালান আক্তাপাড়া এলাকার নামক আস্তানায় নিয়ে আসা হয়।
এখান থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের দীর্ঘ ২বছর ধরে পাইকারদের সরবরাহ করে আসছে। দরিদ্র ও অভাব অনটনের অজুহাতে মাদক বিক্রয়তা আজিজুল ও তার ভাই শামসুল ইসলাম আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে এ অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। অথচ গত কয়েক বছরে মাদক বিক্রয়তা আজিজুল লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে। শুধু তাই নয়, উপজেলা ব্যাপী রয়েছে ন আজিজুল শক্তিশালী একটি মাদক সিন্ডিকেট। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাদক বিক্রয়তা ন আজিজুল শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে বিভিন্ন গোপন স্থানে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অথবা ওপেন-সিক্রেট গাঁজা-ইয়বা বেঁচা বিক্রির লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে বলে তার বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে।
মাদক বিক্রেতা আজিজুল ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মোবাইল নেটওয়ারের মাধ্যমে মাদক বিক্রয়তা আজিজুল তার সহযোগী প্রতিনিয়ত প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলার বিভিন্নস্থানে গাঁজা-ইয়াবা বিক্রির লেনদেন করে থাকে এবং তিনিও একজন পেশাদার মাদকসেবী। এছাড়াও বর্তমানে মাদক সম্রাটের আস্তানায় মাদক মজুদ না করে পার্শ্ববর্তী তার অপরাপর আত্মীয় স্বজন ও ভাইদের বসতঘরে বিশাল আকারের একটি বড় মজুদ করারও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা যদি মাদক বিক্রেতা আজিজুল এর ওপর তীক্ষ্ন নজরধারীসহ তার মাদকের আস্তানায় অনুসন্ধান বা অভিযান চালালে বিপুল পরিমাণ গাঁজা-ইয়বা উদ্ধার ও তার ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন হতে পারে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাদক বিক্রয়তা আজিজুল মাদক ব্যবসার চাঞ্চল্যকর অজানা রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
৫ নং ওয়ার্ড নিবাসী দীর্ঘদিন ধরে আজিজুল এর মাদক ব্যবসা করে আসলেও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় দিন দিন ব্যবসার পরিধি বিস্তৃতি লাভ করছে। এলাকার তরুণ, যুব ও আগামী প্রজন্মের শিশুদের মাদকমুক্ত পরিবেশে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই মাদক বিক্রয়তা আজিজুল কে আইনের জালে আটকাতে হবে। অন্যথায় পুরো উপজেলায় মাদকের সয়লাব হয়ে উঠবে এতে কোন সন্দেহ নেই। যা এখানকার অভিভাবক ও এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে। মাদক বিক্রয়তা আজিজুল গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভপুর থানার ওসির নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান-সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযানের মত আমাদের বিশ্বম্ভপুরে হয় শুদ্ধ অভিযান চলছে এবং আমরা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স তবে মাদককে নির্মূলের ধ্বংস করতে হলে সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।’