ভূমিদস্যু-দখল বানিজ্যে ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনো সোচ্চার

স্টাফ রিপোর্টার //
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী নিজেকে একজন মৌলিক ও মানবাধিকার বঞ্চিত অসহায় নারী দাবী করে তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন তার স্বামী জনাব জাকির হোসনে র্দীঘদিন প্রবাসে চাকুরী করে তার সমুদয় কষ্টার্জিত অর্থের বনিমিয়ে বিগত ইংরেজী ২১/১১/২০১১ সন তারিখে ৪৮৪৭ নং সাফ কবলা দলিল দ্বারা জিলা- ঢাকা, থানা : পল্টন, সাব রেজিষ্ট্রার অফিস সুত্রাপুর অধীন পুরানা পল্টন লাইন মৌজাস্থিত ৬.৩৭ শতাংশ বা ৬৩৭ অযুতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করিয়া ২১৮২ নং নামজারী খতিয়ানে সর্বমোট ৬.৩৭ শতাংশ বা ৬৩৭ অযুতাংশ বাড়ি ভুমি ১২/১২ নং জোতে নিজ নামে নামজারি ও জমা খারিজ করিয়া হাল সন সরকারি সকল খাজনাদি পরিশোধ করিয়া নালিশী সম্পত্তি অন্যের কোন ওজর আপত্তি ব্যতীত চারপাশে পাকা বাউন্ডারি দেওয়াল নিমার্ণ করিয়া এবং ৫ তলা পুরাতন ভবন সহ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন এবং বিবাদী ১) জহিরুল ইসলাম রুমি, ২) মমতাজ পারভীন, ৩) মোহাম্মদ সোহেল (সম্পর্কে ১ নং ও ২নং বিবাদী স্বামী-স্ত্রী এবং ৩ নং বিবাদী তাদের সন্তান) হচ্ছেন তার স্বামী জাকির হোসেন এর পূর্ববর্তী মালিকের ভাড়াটিয়া সেই সুত্রে জাকির হোসেনেরও ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতে থাকেন।
বিবাদীগণ আওয়ামী সরকারের একনিষ্ট কর্মী-সর্মথক হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন্ র্দুনীতি গ্রস্থ কর্মকর্তা ও নেতাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনে তারা মাদক ব্যবসা, ভুমি দখল, সম্পদ লুট, এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন এবং সন্ত্রাসী গ্যাং পরিচালনা করতেন।
বিবাদীগণ অনৈতিভাবে ক্ষমতার দাপটে জাকির হোসেন এর ক্রয় কৃত উক্ত ৫তলা ভবনের অর্ধেক নিজের বলে দাবি করেন এবং তাদেরকে ভবন ছাড়ার জন্য মারধর করে ও জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করিলে বিগত ২৩/১১/২০১১ তারিখে জাকির হোসেন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় একটি জিডি করেন যাহার নম্বর ১২৩২। পরবতীর্তে ভুক্তভোগী পারভীন র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিগত ৩০/১১/২০১১ ইং তারিখে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করে যাহার নাম্বার ৩১৪/২০১১। মামলা করার কারনে বিবাদীগণ আবার তাদের মারধর করতে আসে। অতঃপর বিগত ০৮/১২/২০১২ তারিখে ভুক্তভোগী পারভীন পল্টন মডেল থানায় আরো একটি জিডি করে যাহার নাম্বার ৪৪৩। এ ছাড়াও বিবাদী পক্ষ কর্তৃক প্রান নাশের ভয়ে ভুক্তভোগীর বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিলে বিবাদীরা শান্ত থাকে। ভুক্তভোগী তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন যে বিবাদীপক্ষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস্ট সরকার কে বাচাঁতে অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সক্রিয় হয়ে যায় এবং বিবাদীদের নিকট ২টি অস্ত্র এখনো বিদ্যমান রহয়িাছে। যে গুলো সরকারী নির্দেশনা থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষরে নিকট জমা প্রদান করেনি। বিগত ৫ই অগাস্ট সরকার পতনের পর দেশে অরাজকতার সুযোগ নিয়ে বিবাদীগণ আরো বেশি সক্রিয় হয়ে যান। পরে গত ৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখে দেশে অরাজকতার সুযোগ নিয়ে আবার তাদের মারধর করতে আসে এবং সম্পূর্ণ বিল্ডিং তাদের বলে দাবি করে। ভয়ে এবং দেশের পুলিশিং ব্যাবস্থা না থাকার কারনে তিনি ঐ সময়ে কিছুই করতে পারেনি। পরে বিগত ০২/০৯/২০২৪ তারিখে পল্টন মডেল থানায় তিনি আরো একটি জিডি করে যাহার নাম্বান ১৩৮। ভুক্তভোগী তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে পাওয়া নতুন বাংলাদেশের পল্টন মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক কোনো প্রকার সহযোগীতা না পেয়ে অবশেষে তার পরিবারের সদস্যগন ও আত্মীয় স্বজনদেরকে নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে নিজ বাড়িতে বিবাদী জহিরুল ইসলাম রুমী এবং মমতাজ পারভীনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন, প্রতিবাদ সভা ও গ্রেফতারের দাবীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। উক্ত কর্মসূচী পালনের পূর্বে গত ২১/১০/২০২৪ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ, পল্টন মডেল থানাকে অবহিত করিয়া একখানা পত্র প্রেরণ করে কিন্তু তিনি তাহা গ্রহন করেননি এবং পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সহযোগীতা পাইনি বলেও অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন অবাক হওয়ার মতো বিষয় এই যে, অবস্থান কর্মসূচী পালন করাকালীন সময়ের মধ্যে পল্টন থানা পুলিশ পরিচয়ে পোশাকে ও সাদা পোষাকে কয়েক ধাপে পুলিশ সদস্যরা কর্মসূচীতে এসে অত্যন্ত আন্তরিক পেশাদারিত্ব ও সহযোগীতার মনোভাব প্রকাশ করে তাদেরকে ও পরিবারের সদস্যদেরকে তথ্য গ্রহনের নামে বারংবার বিভিন্ন প্রশ্ন করিয়াছে, যাহাতে তারা বিরক্ত ও হয়রানিবোধ করছেন। পুলিশ কার অভিযোগের ভিত্তিতে এখানে আসছে জানতে চাইলে তখন তারা জানায় উপর থেকে ওসি সাহবের কাছে ফোন আসছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এমনকি ভুক্তভোগীকে উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীসহ সবার উপস্থিতিতে প্রশ্ন করলেও বিবাদীপক্ষের সাথে তাদের বাসায় নিজের মতো করে কথা বলে চলে যায় পুলিশ। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার সন্দিহান প্রকাশ করে প্রশ্ন রাখেন যে নতুন বাংলায় আদৌ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে কিনা ! আর তিনি কি তার মৌলিক ও মানবাধিকার ফিরে পাবেন কিনা!

ভুক্তভোগী পারভিন আরো জানান উক্ত বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যে উক্ত এলাকার সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক সংগঠনকে অবহিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করিয়াছেন।

ভুক্তভোগী পারেন তার বক্তব্য আরো বলেন বিগত ২১/১০/২০২৪ ইং তারিখে আগত পুলিশ ও সাংবাদিকগণ তাদের উভয় পক্ষের সাথে আলাদাভাবে কথা বলে উভয়ের কাগজপত্র দেখতে চাইলে ভুক্তভোগী পারভীন তাদের কাগজপত্র ও দলিলাদী উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিবাদীপক্ষ কোনো প্রকার কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয় নাই। এমনকি গভীর রাতে পিছনের গোপন দরজা দিয়ে বিবাদীগণ পালিয়ে যায়।
বিগত ২২/১০/২০২৪ইং তারিখ সকাল ১১ ঘটিকায় বিবাদী সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ে কর্মসূচী স্থলে আসলে সেনাবাহিনী সদস্যগণ উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখতে চান। ভুক্তভোগীপক্ষ তাদের কাগজপত্র উপস্থাপন করলে বিবাদীপক্ষ কোনো প্রকার কাগজপত্র প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। এমতাবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিবিদীদেরকে বাড়ি তথা কর্মসূচী স্থল ত্যাগ করে চলে যেতে বলেন এবং ভুক্তভোগীদেরকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এবং উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার পরামর্শ প্রদান করেন।

কিন্তু বিগত ২৪/১০/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় উভয়পক্ষকে মাওলানা ভাষানী স্টেডিয়াম সেনাবাহিনী কর্তৃক টেলিফোনে কাগজপত্র সহ ডেকে নিয়ে যায় এবং রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ও কাগজপত্র দেখে এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন। বিগত ২৫/১০/২০২৪ ইং তারিখে যখন ভুক্তভোগীদের বাসার সামনে এই ভুমিদস্যু খুনি হাসিনার দোসর থেকে ভুক্তভোগীদের বাড়ি ও সম্পত্তি মুক্ত করার জন্য প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে জনগণের নিকট বিচার চাচ্ছিল তখন বিবাদী পক্ষের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাদের দারোয়ান কে মারধর করে, গুলি করার ভয় দেখায়। বাড়ির মালিক জাকির হোসেনের নামের বিল বোর্ড, নাম ফলক ভেঙ্গে ফেলে। পল্টন মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাচান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভুক্তভোগীদেরকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এর পর তাকে ও স্বামী-সন্তানকে খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করে ও তারা বাসা থেকে বের হলেই তাদেরকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী তার কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে ক্রয়কৃত বৈধ সম্পত্তি উদ্ধার করত: দখল সত্ত্ব নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী এবং আইনগত ও সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর স্বামী সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

     More News Of This Category

Our Like Page

পুরাতন খবর

MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031   
       
      1
2345678
9101112131415
23242526272829
30      
   1234
567891011
       
 123456
78910111213
282930    
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728  
       
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
      1
2345678
3031     
    123
       
 123456
28293031   
       
      1
2345678
30      
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031     
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
28293031   
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31