বিশেষ প্রতিনিধি:
সমীর চক্রবর্তী একটি আতংকের নাম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ক্যাশিয়ার সিটিজেন ব্যাংকের বাড্ডা উপশাখার ব্রাঞ্চ ইনচার্জ। তিনি ব্যাংকে বানিয়েছেন রাজনৈতিক কার্যালয়।গত ৫ আগষ্টের আগে যিনি ছিলেন ত্রাস। আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এই সমীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। যিনি নিজেকে ব্যাংকের মালিক মনে করতেন। আনিসুল হকের ছত্রছায়ায় থেকে যে কোন অপরাধ করতে কোন পরোয়া করতেন না। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছু দিন গাঢাকা দিয়ে থেকে আবার প্রকাশ্যে এসে নিয়মিত সিটিজেন ব্যাংকের বাড্ডা উপশাখায় অফিস করা শুরু করেন। এদিকে আনিসুল হক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আগত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে তার অফিসে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। আনিসুল হক জেলে বসে সমীর চক্রবর্তীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন বলেও শোনা গেছে।এমন ও শুনা যায় যে তার এলাকার কোন নেতা কর্মী যদি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হন তাহলে আনিসুল হকের আদেশে তাদের মামলা পরিচালনা করার জন্য ব্যাংকিং খাতে থেকে খরচ করার অনুমতি ও দেওয়া হয়েছে এই সমীর কে। আনিসুল হকের সহযোগী হিসেবে যেখানে তার জেলে থাকার কথা অদৃশ্য ক্ষমতাবলে তিনি আওয়ামী লীগ কে সংগঠিত করছেন ।
ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় তাহলে অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই খারাপ অবস্থায় চলে যাবে। তাই সমীর চক্রবর্তীর মতো যারা অফিসে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সে ব্যাংকিং খাতের কোন অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।