রিপোর্টার//মো: শাহজালাল দেওয়ান:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ৩১ আগস্ট রোজা রাখা অবস্থায় এলাকার দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া ও ইফতার করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল আলিম মোল্লা। দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি,এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সদস্য সামুন্নহার ভূইয়া এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী ইলিয়াস আহমেদ,সাবেক ছাত্রনেতা ও গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য জাহিদুল কবির আনোয়ার,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫২ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন, টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি আবু জাফর আহমেদ, ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ ইয়াছিন, পশ্চিম থানা কৃষক লীগের সভাপতি হাজী মোসলেম উদ্দিন, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান কানন মোল্লা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজিব হায়দার সাদিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামীম ইশতিয়াক, সজিব হাসান জয়,রাশেদুল ইসলাম বিল্লাল,মনির হোসেন মোল্লা , ৫২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সহ বিপুল সংখ্যক শ্রেণী পেশার লোকজন এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া পরিচালনা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন গাজীপুরী। প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের গরীর দুখী মেহেনতী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য তার সারাটি জীবনকে উৎসর্গ করেন। এ দেশের স্বাধীনতার জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মানুষের তরে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের জীবনের সুখ শান্তির কথা কখনো চিন্তা করেন নি। এ দেশের নির্যাতিত নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত বাঙালি কিভাবে ভালো থাকবে, কিভাবে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবে, সে চেষ্টাই ছিলো তার জীবনের একমাত্র আরাধ্য বিষয়। তিনি নিজের পরিবার পরিজনের কথা পর্যন্ত কখনো চিন্তা করেন নি। গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় বাঙালি জাতি জাতির পিতাকে স্মরণ করছে। আব্দুল আলীম মোল্লা জানান, ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে টঙ্গীর মুদাফা ও ভাদাম এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষকে সাহায্য করতে আসা বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখতে এলাকার মানুষ জড়ো হন। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে দেখতে যান কিশোর আব্দুল আলীম মোল্লাও। এ সময় বঙ্গবন্ধু তার গালে ও মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই স্নেহস্পর্শ থেকেই তার প্রতি জন্ম নেয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তার পর থেকে আজ অবধি আব্দুল আলীম মোল্লা জনমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।