ইসরাফিল শেখ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম (৩০)পোরজনা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক, গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার কৈজুরী বিএনপি’র সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পোরজনা বাজারের সুমন ডাক্তারের দোকানের সামনে থেকে সন্ত্রাসীর লিডার শশুর সাইফুল(৫০)এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিতভাবে হামলা করে তাকে একটি অটো ভ্যানে টেনে হিসরে তোলার সময় উপস্থিত জনতা দেখে
ফেলে । ভুক্তভোগী রাশিদুল ইসলামকে সন্ত্রাসী সাইফুলের শশুর সংসেরের বাড়িতে নিয়ে মুখে গামছা বেদে অমানবিক ভাবে বেধড়ক মারধর করার একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তার সপরিবারকে মৃত্যুর হুমকি দেয়।সে সময় সন্ত্রাসীরা বলে আমরা যা বলবো তুই তাই করবি, না হলে তোকে হারুন মাস্টারের মত অপমৃত্যু দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিব। ইতিপূর্বে আমরা কত মারামারি কত মার্ডার করেছি তুই কি জানিস না! ভুক্তভোগী রাশিদুলকে অস্ত্রের আঘাত দিয়ে, অস্ত্র পিছন থেকে ঠেকিয়ে তাকে ১২ লক্ষ টাকার কাবিন এর স্বাক্ষর প্রদান করতে বাধ্য করে। আহত রাশিদুল ইসলামকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে এবং তার পরিবারকে ধ্বংস করার ভয় দেখিয়ে তার শশুর সন্ত্রাসী সাইফুল ও তার দলবল ১২ লক্ষ টাকার কাবিনে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন এবং সাথে ছয়টি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনাটির সাথে পোরজনা ইউনিয়নের কাজী আমিনুল ইসলাম রিপন পিতা আজগর আলী সরাসরি যুক্ত ছিলেন । কাজী আমিনুল ইসলাম রিপন বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন রকম অভিযোগ পাওয়া যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভুক্তভোগী রাশিদুল ইসলাম এর স্ত্রী শাপলা খাতুন, শশুর সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম, তোতা প্রামানিক , পালোয়ান প্রামানিক , শাকিব, রউপ,ইউসুফ, মনি,জানে আলম আরো অনেকে উভয় সন্ত্রাসীর বাড়ি বাচরা গ্রামে। এ সময় ভুক্তভোগী রাশিদুল ইসলামের পরিবার থানা পুলিশ সাংবাদিক ও বিএনপি’র সহযোগিতায় আহত রাশিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলামের বাবা অপরাধীদের শাস্তি দাবী করে শাহজাদপুর উপজেলা আমলী আদালতে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।