গাজীপুরের টঙ্গীর আলোচিত একাধিক মামলার আসামি মঞ্জুর হোসেন মঞ্জুকে (২৫) গ্রেপ্তারের পর জেলহাতে পেরন করেছে করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। পরে থানায় দায়ের করা মারধোর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়সার আহমেদ। অভিযুক্ত মঞ্জু টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৩ নম্বর ব্লকের ময়নুল হোসেন এর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানায় ও উত্তরা পূর্ব থানায় দুটি পৃথক দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৫ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা বেলী (৪৫) এর বাসার সামনে মঞ্জু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে কয়েকটি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় বেলীর মেয়ে ও উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজে ছাত্রী মাহফুজা আক্তার বাসা থেকে বের হলে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত করে মঞ্জু ও তার বাহিনীরা। এ ঘটনার পর বেলী বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সোমবার রাতে তাকে প্রথমে আটক ও পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। এদিকে টঙ্গী ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড এরশাদ নগর এলাকায় বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, মঞ্জু, মইজুদ্দির এই সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবে আতঙ্কিত পুরো এলাকাবাসী। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে হামলা, স্থানীয়দের মারধর, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাইকার নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তোলেন তারা। তার গ্রেপ্তারের খবরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তারা। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহাম্মেদ জানান, তার বিরুদ্ধে আমাদের থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল বেলী নামের এক ভুক্তভোগী। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়া মঞ্জুকে প্রথমে আটক ও পরে মামলায় দায়ের এরপর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।