ষ্টাফ রিপোর্টার
গোপালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যাচ্ছে, অবৈধ ভাবে ভুমি দস্যু দখল বাজরা সরকারি খাল বালু দিয়ে ভরাট করে গড়ে তুলেছে বসতবাড়ি ঘর। এমনই এক ঘটনা ঘটছে ৫০ নং নিজড়া মৌজা হাল দাগ – বি আর এস-৫৪৫৩ নাম্বার দাগের মালিক মৃত্যু আঃ মালেক মোল্লা। বহুবছর আগের থেকে দাগের দক্ষিন পাশ দিয়ে পশ্চিম দিক হইতে পুর্ব দিকে লম্বা ভাবে পশ্চিমে ৫৫ ফুট চওড়া করে পুর্ব পাশে ৫২ ফুট চওড়া করে লম্বা ভাবে খালটি পুর্ব দিকে বট বাড়ির খালের সাথে মিশে, মধুমতি নদীতে গিয়ে মিলেছে। কয়েক বছর আগেও এই খাল দিয়ে নৌকায় করে অত্র এলাকার কৃষকেরা ধান কেটে বাড়িতে নৌকায় পানিতে ভেসে আসতো।আজ কিছু ভূমিদস্যুদের কারনে সেই সব খাল আজ ভরাট করে জবর দখল করে নিজেদের ব্যাক্তি মালিকানা সম্পত্তি মনে করে অপ শক্তি ব্যবহার করে সরকারি বিধিমালা লংঘন করে পাকা বসত বাড়ি ঘর তুলেছেন মালেক মোল্লার ঘর জামাই ভূমিদস্যু আকমাল মোল্লা। তার চার ছেলে বিদেশে থাকায় সে এলাকায় কাউকে মানুষই মনে করে না।তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায়না।তার আপন শ্যালক তহসিলদার হওয়ার কারনে অবৈধভাবে মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে দখল করে নিয়েছে সরকারি খালের জমি। এই খাল মুক্ত করতে সম্মানিত তহসিলদার মহসিন কে ফোন করা হলে তিনি জানান আমি তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।আকমাল ও তার ছেলে নয়ন মোল্লা বিভিন্ন মানুষকে টাকার বিনিময়ে এই জায়গায় ঘর পাকা করেছে। কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকলেও আবার নতুন ভাবে কাজ শুরু করেছে ভূমিদস্যু আকমাল। আকমালকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,বাংলাদেশে টাকা হলে সব কিছু করা সম্ভব। এই ব্যাপারে ইউ এন ও কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি ব্যবস্হা নিবে বলে গন মাধ্যমে কর্মীকে জানান। এলাকাবাসীর একটাই দাবী এধরণের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে আমাদের খালটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।এলাকার একজন মুরব্বি জানান আকমল হলো ঘর জামাই, ও ছিল এক গরীব ঘরের সন্তান, তার মাকেও আকমাল ভাত দেয়নি।তার ছোট ভাই আকু মোল্লাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে নিজেই সব সম্পত্তি নিজের নামে জোর করে নিয়েছে। আকু মোল্লা সে কষ্টে এখন প্যারালাইসে ঘরে পড়ে আছে। সেই কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।ভুমি দস্যু আকমলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এই সরকারি খালের জায়গা হতে তার বিল্ডিং সরিয়ে দেওয়ার জন্য মাননীয় জেলাপ্রশাসক সহ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দাবী জানাচ্ছি। খাল মুক্ত না হলে, স্মারক লিপি প্রদান করা হবে প্রতিটি মন্ত্রণালয় বরাবর।