চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বন্ধুকে আটকে রেখে ওই বন্ধুর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারী। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ অপহরণের শিকার শামীম হোসেনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রেরণ করে এবং অভিযুুক্ত অপহরণকারি বন্ধু হুমায়ুন কবিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।বুধবার (৩০ এপ্রিল ২০২৫) উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব আলোনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন জানান, পূর্ব আলোনিয়া গ্রামের সেলিম বেপারীর ছেলে শামীম হোসেন ও একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে হুমায়ুন কবির পরষ্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বন্ধুত্বের সুবাধে শামীমের বাড়িতে হুমায়ুনের অবাধ যাতায়ত ছিল। এই সুযোগে শামীমের সুন্দরী স্ত্রীর উপর কুনজর পরে হুমায়ুনের। হুমায়ুন ফাঁদ পেতে শামীমকে অপহরণ করে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল ২০২৫) তার আলোনিয়া গুদারাঘাট বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্জন কক্ষে আটকে রাখে। পরে স্বামীর খোঁজে শামীমের স্ত্রী সাদিয়া দিকবিদিক ছুটাছুটি করছিল। এরইমধ্যে ওই রাতেই হুমায়ুন শামীমের বাড়িতে গিয়ে একপর্যায়ে সাদিয়ার স্বামীকে ফিরে পাওয়ার শর্ত হিসেবে তার সাথে রাত্রি যাপনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সাদিয়া তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হুমায়ুন কৌশলে ভোল পাল্টে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।৩০ এপ্রিল বুধবার সকাল পর্যন্ত স্বামীর খোঁজ না পেয়ে সাদিয়া জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমায়ুনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক এবং তার কথা অনুযায়ী তার দোকানের নির্জন কক্ষ থেকে শামীমকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে শামীমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। অভিযুক্ত হুমায়ুনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ আলম জানান, জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কলের ভিত্তিতে ভিকটিম শামীমকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত হুমায়ুনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।