পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বন্দরের ছোট চৌদ্দকানী তিন নং ওয়ার্ডে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ভুক্তভোগী নারী জানান মা বাবার অমতে প্রেমের টানে তারা দুজনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কিন্তু বিয়ের কিছু দিনপর শুরু হয় সংসারে অশান্তি শশুর শাশুড়িসহ সবাই তাকে জ্বালা যন্ত্রণা দিতে থাকে একপর্যায়ে তিনি স্বামীকে নিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকেন স্বামী কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় চলেগেলে সন্তান সম্ভাভা নারী তার বাপের বাড়ি চলে আসেন এর কিছুদিন পরে ওই জামাইও শ্বশুর বাড়ি এসে থাকতে শুরু করেন।সরজমিনের তথ্য নিয়েও মেয়ের বাবার সাথে কথা বললে তিনি আমাদেরকে জানান আমার মেয়ে আমাদের অ মতে এই ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে আমরা মামলা করিলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশির মাধ্যমে একটা মিমাংসা করেদেয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার মেয়ে সেই শান্তিটুকু পেল না। আজ আমি বড় অসহায়। এই নাতির বয়স ৭ মাসের বেশি। বিগত এক বছর যাবৎ নাতি সহকারে মেয়ে আমারবাড়ীতে রয়েছে কিন্তু জামাই আমাকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে না আজকে বাড়িতে কেউ না থাকায় জামাই এসে মেয়েকে মারধোর করে টাকা-পয়সা সবকিছু নিয়ে চলে যায়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত নিজামের বাবার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি৷ মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করার পর অভিযুক্ত নিজামকে পাওয়া গেল। তারসাথে কথা বললে তিনি স্ত্রীকে মারার বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
রাকিব আল হাসান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি//