গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুলে গোপনে মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে এক ছাত্রী কথা বলছিল। তা দেখে স্কুল শিক্ষকের কাছে বিচার দেওয়ার ক্ষোভে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর গলায় ব্লেড চালাল দশম শ্রেণির ছাত্রী। গুরুতর আহত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।আজ রোববার দুপুরে উপজেলার নিজমাওনা উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী নিজমাওনা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে।সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বড় বোন বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী একটি মোবাইল ফোনে প্রেমিকের সঙ্গে আলাপ করছিল। বিষয়টি আমার বোন দেখে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে। বিষয়টি স্কুলের স্যারকে জানানোর পরপরই তাদের অভিভাবকদের জানান প্রধান শিক্ষক। এর জেরে দশম শ্রেণির ছাত্রী আজ টিফিন আওয়ারে স্কুলের বহুতল ভবনের চারতলায় আমার বোনকে বকাঝকা করে। একপর্যায়ে ব্লেড হাতে আমার বোনের গলায় আঘাত করে গলা কেটে দেয়।’শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিজন মালাকার বলেন, রাত ৮টার দিকে একজন স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্লেডের আঘাত, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।নিজমাওনা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এক ছাত্রী আরেক ছাত্রীর গলায় ব্লেড চালিয়ে আহত করেছে। আমরা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিচ্ছি। চিকিৎসা শেষে বিস্তারিত জানার পর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানা-পুলিশে অবহিত করেনি কেউ। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টারঃ