গাজীপুর মহানগরের হায়দরাবাদ হোসনারটেক এলাকায় একটি পায়ে হাঁটার রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দায়ের করা একটি চাঁদাবাজির মামলাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব। এ নিয়ে টঙ্গী সিটি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ও এলাকাবাসী তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, শান্তা ইসলাম নামের এক বাসিন্দা তার সন্তানদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি পায়ে হাঁটার রাস্তা নির্মাণের অনুরোধ করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পরিদর্শনের মাধ্যমে ৩ ফুট প্রন্থ ও ১৫ ফুট দৈঘোর একটি রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এ কাজে সম্পৃক্ত জমির মালিক নূরুল ইসলাম ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬০ হাজার টাকা দাবি করলে তা প্রদান করা হয়। রাস্তা নির্মাণ শেষে নূরুল ইসলামের কন্যা নূরুল্লাহ-ার একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে হাবিবুল্লাহ হাবিবকে প্রধান আসামী করা হয়। এ বিষয়ে হাবিব বলেন, “রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব হাজী আঃ আজিজ মোক্তার সাহেবের ওপর ছিল। নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবুও আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এ মামলার পেছনে স্থানীয় একটি চক্র রয়েছে যারা একসময় সমাজে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত ছিল। এখন তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।”সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী জানান, উক্ত রাস্তা সমাজের দরিদ্র শিশুদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের ১৪৫ ধারা জারির ফলে শান্তা ইসলাম বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করা হয়। মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমার ওপর আনা মিথ্যা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।”
নিজস্ব প্রতিবেদক //