ষ্টাফ রিপোর্টার।। গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার বহুল পরিচিত সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম কামু (৫৩) এর গ্রেফতারের ঘটনা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সফল অভিযানে সোমবার ভোরে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কামু এরশাদনগর ৪ নম্বর ব্লকের তমিজউদ্দিনের ছেলে। কামুর বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, মাদকসহ ২৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন। কামুর গ্রেফতারের খবরে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকাবাসী যেন নতুন করে আশার আলো দেখতে পায়। কামুর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে তার কঠোর শাস্তি, বিশেষ করে ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, যেখানে কামুর অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানানো হয়। মহাসড়কের এই অবরোধ প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী হয়। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়ে এলাকার ভেতরে ফিরে যান এবং আনন্দ মিছিল করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কামুর গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান এবং এলাকাবাসীকে মিষ্টি বিতরণ করেন। এই ঘটনায় ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, টঙ্গী পূর্ব থানা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক হালিমা আক্তার, বিএনপি নেতা নাজিউর রহমান সুমনসহ স্থানীয় বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। তার নেতৃত্বে ভয়াবহ অপরাধমূলক চক্র গড়ে উঠেছিল। খুন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, এবং বেআইনি অস্ত্রের ব্যবহার ছিল তার অপরাধ কার্যক্রমের নিয়মিত অংশ। এসব কারণে এলাকাবাসী সবসময় আতঙ্কে থাকতেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কামুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে এলাকার সন্ত্রাস দমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থাকা ২৪টি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ আরও জানায়, কামুর সহযোগীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কামুর গ্রেফতারের খবর পেয়ে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এলাকার মানুষ মনে করছেন, কামুর মতো অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
এলাকার মানুষ এখন আশা করছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন কঠোর পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অন্য অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে এবং এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সহায়তা করবে।