মাছুম বিল্লাহ ঢাকা প্রতিনিধি:

আ: মজিদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামে।তার পিতার নাম আবু তাহের হাওলাদার, মাতার নাম শাহিনুর বেগম।

মেয়ে সুমাইয়া আক্তার জেলা বরিশাল উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ চাঁনপুর ইউনিয়ন।ছয় বছর আগে সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে প্রথম তাদের পরিচয় অভিযুক্ত যুবক আঃমজিদ বিভিন্ন সময় মেয়ে সুমাইয়া কে টেক্সট মেসেজ দিতে থাকে এক পর্যায়ে মেয়ে মেসেজের রিপ্লাই দেয় এর পর ধীরে ধীরে তাদের ভিতরে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক যখন গভীর হয় তারা দুজন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় সম্পর্ক আরো গভীর হলে অভিযুক্ত আঃমজিদ মেয়ের সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এভাবে প্রায় চার বছর দেখা করার কথা বলে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতো। বিয়ের জন্য বললে অভিযুক্ত যুবক বলতো একটা ভালো চাকুরী হলে দুজন বিয়ে করবে।২০২২ সালে অভিযুক্ত আঃমজিদের মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের দাখিল শাখার দৈনিক মজুরি হিসেবে অফিস সহায়ক(পিয়ন)চাকুরী হলে সে ঢাকা চলে আসে। ঢাকা চলে আসার পরেও মোবাইল ও মেসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত তাদের দুজনের মধ্যে যোগাযোগ চলে। বিগত তিন মাস আগে মেয়ে সুমাইয়া যখন বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে আস্তে আস্তে আঃমজিদ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফেসবুক আইডি ডি এ্যকটিভ মোবাইল নাম্বার ব্লক এমন কি যে নাম্বার দিয়ে কথা বলতো ঐই মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়।

অভিযুক্ত যুবক যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে মেয়ে ঢাকা এসে তার অফিসে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এমনকি তার অফিসের সহযোগীদের কাছে বলে যে মেয়ে প্রশাসনিক ভাবে তার কিছুই করতে চাইলে পারবে না।

ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত আঃমজিদ বলেন তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল মেয়ে নাকি তার পারিবারিক কথা গোপন রেখে সম্পর্ক গড়ে তোলে।এর পরে পারিবারিক ভাবে সমাধান করার জন্য একাধিক বার হোয়াটসঅ্যাপ এবং মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও আঃমজিদ ফোন রিসিভ করেননি।এই বিষয়ে একাধিক বার সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান না হওয়াতে মেয়ে সুমাইয়া আইনের আশ্রয় নিবে জানা গেছে।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক বিয়ের চাপ দেওয়াতে যুবক আত্মগোপনে।

ডেস্ক রিপোর্টঃ

গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন ৩৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন খাইলকুর এলাকায় জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আবুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোবাইল ছিনতাই, ভাঙচুর ও পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন একই ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল। এ নিয়ে জনমনে ও শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায় ০৯/১২/২০২৪ ইং রোজ সোমবার বিকাল আনুমানিক ০৪.৪৫ মিনিটে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা পরিচালনা করার সময় অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন রামদা, ছেন, চাপাতি, লোহাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনীজনতাবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানে জুট নামানোর সময় ব্যবসায়ীর কাছে 5 লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে অস্বীকার করলে মারধর, হামলা, ভাঙচুর, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ব্যবসায়ীর হাতে থাকা মোবাইলটি নিয়ে ১ নং বিবাদী ভেঙে ঘুরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় জুট ব্যবসায়ী আবুল হোসেন (৫১) চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের নামে গাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন বিগত আনুমানিক ৩০ বৎসর যাবৎ গাছা থানাধীন দক্ষিন খাইলকুর এলাকায় মের্সাস পপি এন্টারপ্রাইজ নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। ১ নং বিবাদী ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল প্রায় সময় ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের কাছে নগদ অর্থ চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছিল। আবুল হোসেন চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রুনা ফ্যাশন বিল্ডিংয়ের পদ্ম সাথিলা ও স্পিট গামেন্টস থেকে আমার ব্যবসায়ীক গোডাউনে ট্র্যাক হতে জুট নামানোর প্রাক্কালে ১। কামরুজ্জামান কামরুল (৪৮), পিতা-সামসুল হক মাস্টার, ২। রাকিব (২৩), পিতা-আব্দুল কাদের জিলানী, ৩। কার্টুন সুমন (৪৮), পিতা-অজ্ঞাত, ৪। নুরুজ্জামান রুবেল (৩৬), পিতা-নুরুল ইসলাম, সর্ব সাং-দক্ষিন খাইলকুর, ওয়ার্ড নং-৩৮, গাছা থানা বাসিন্দা।

গত বুধবার ৪/১২/২০২৪ ইং জুট ব্যবসা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া পাঁচ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ সহ কয়েকজন আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন ডেগের চালার ফকির মার্কেট এলাকায়। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী শাওন (২৫) সাংবাদিকদের জানান ঘটনার সময় পথচারীরা ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করে ছুটে পালায় অনেকে বিভিন্ন দোকানের ভিতর আশ্রয় নিয়েছে। দুই থেকে তিনটা গুলির শব্দ পেয়েছি।

সুজন থানায় অভিযোগ করলে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। ভয়ে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা না বলেও সাংবাদিকদের জানায়।

এলাকাবাসী ও ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ অভিযোগে গাছা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আদম আলী কে এক নাম্বার বিবাদী করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে গাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আব্দুল হামিদ আরো বলেন, ০৪/১২/২০২৪ইং রোজ বুধবার সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদীর হুকুমে উল্লেখিত বিবাদীরাসহ তাহাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন পরস্পর যোগসাজসে একে অপরের সহযোগীতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রত্যেকের হাতে ধারালো চাপাতি, সুইচ গিয়ার, লোহার রড ও লাঠি-সোটা সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে অত্র গাছা থানাধীন ডেগেরচালা সাকিনস্থ ফকির মার্কেটস্থ আমার মালিকানাধীন হামিদপ্লাজা বিল্ডিং সংলগ্ন রাস্তার উপর আমার পথরোধ করতঃ অহেতুক অশ্লিল ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করিয়া প্রাণ নাশের ভয়-ভীতি হুমকি দিয়া আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিতে থাকে। ইহাতে আমি ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করায় উল্লেখিত সকল বিবাদীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করত। এলোপাথারীভাবে কিল, মুহি, লাথি মারিয়া ও উপর্যপূরীভাবে বাইরাইয়া আমার মাখা, কপাল, কান, বুক-পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। ২নং বিবাদী (রুহুল আমিন) আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া এলোপাথারী কোপ দিলে আমি সামান্য সরিয়া গেলে আমার ভাতিজার শ্যালক মোঃ শাওন (২৮) এর বাম হাতের কুনুই এর উপরে একাধিক আঘাত লাগিয়া কাটা রক্ষাক্ত জখম হয়। তখন আমাদের ডাক-চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে ৭নং ( নাজিমুদ্দিনের ছেলে কালার মামুন) বিবাদী তাহার হাতে থাকা পিস্তল দিয়া ফাঁকা গুলি ছুরে। যাহার ফলে স্থানীয় লোকজন ও পথচারী ভীত হয়ে যায় এবং এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। তখন সকল বিবাদীরা পরবর্তীতে সুযোগমত আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনসহ আমার ব্যবসায় সহযোগী লোকজনদের প্রাণ নাশ করিবে মর্মে প্রকাশ্য হুমকি-ধামকি দিয়া সেখান থেকে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন আমার ভাতিজার শ্যালক মোঃ শাওন কে আহত অবস্থায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর এ ভর্তি করেন।
জানা যায় কালক্ষেপণ করে গত ৮/১২/২০২৪ ইং রোজ রবিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ এর উপস্থিতিতে গাছা থানায় বসে সমাধান করা হয়।

এ বিষয় নিয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিএনপি’ থানার নেতাকর্মীরা বসে সমাধান করেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণ এন এম নাসির উদ্দিন বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

গাজীপুরের জুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারে প্রতিনিয়ত চলেছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

Our Like Page

পুরাতন খবর

MonTueWedThuFriSatSun
      1
2345678
23242526272829
3031     
    123
       
 123456
28293031   
       
      1
2345678
30      
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031    
       
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031     
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
28293031   
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31